~ সপার্ষদ শ্রীরামকৃষ্ণ ~
ভুমিকা
মায়ের কথা মিথ্যা হবার নয়।
ছেলেরা সব একে একে আসতে থাকেন দক্ষিণেশ্বরে। আসেন নরেন, রাখাল, তারক, শরৎ, শশী প্রমুখ ষোলজন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ লীলা-সহচর। এঁদেরই হাতে যুগাবতার তুলে দেন তাঁর তপস্যার সম্পদ। সিদ্ধির ফল। একজনের ললাটে এঁকে দিয়েছিলেন নেতৃত্বের রাজতিলক। তিনি আর কেউ নন—বিশ্বমঠ-বিহারী স্বামী বিবেকানন্দ।
এই লীলাসহচরদের জীবনেই লেখা আছে রামকৃষ্ণ-জীবনের ভাষ্য। ঊনিশ শতকের শেষ পাদে এঁদের নিয়েই ইতিহাসের এক শুভ লগ্নে ভারতবর্ষে শুরু হয়েছিল রামকৃষ্ণ-যুগ, রামকৃষ্ণ-আন্দোলন। বলা বাহুল্য, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উৎপত্তি, বিকাশ ও পরিণতিতে এদের প্রত্যেকেরই ছিল বিশিষ্ট ভূমিকা। এদের প্রত্যেকেরই জীবন স্ব-স্ব বিশেষত্বে ভাস্বর হলেও, প্রত্যেকেরই ছিল একটি সর্বতােমুখী প্রতিভা। ত্যাগ ও বৈরাগ্যের পতাকাধারী, মানব সেবাব্রতী এই রামকৃষ্ণগণের অমৃতসমান জীবনকথা পরিবেশিত হয়েছে এই গ্রন্থে। এই গ্রন্থের পরিকল্পনা রবীন বলেন, আমি শুধু এর রূপকার।
১০ বাগুইআটি রােড
মনি বাগচি
0 Comments