[PDF] সবার মা সারদা – শ্রী মৃণালকান্তি দাশগুপ্ত

~ সবার মা সারদা  ~

শ্রী মৃণালকান্তি দাশগুপ্ত

[PDF] সবার মা সারদা – শ্রী মৃণালকান্তি দাশগুপ্ত

ভূমিকা


তন্দ্রাগ্ৰস্ত শতাব্দী। পাশ্চাত্য সভ্যতার রাহুগ্রাসে ভারতাত্মা আচ্ছন্ন। জাতির জীবনে ঘাের শঙ্কট। তারা বিস্মৃত হতে বসল তাদের নিজেদের পরিচয়। উনবিংশ শতাব্দীর আশীর্বাদ উপেক্ষা করে তারা ছুটল পরধর্ম ও পরানুকরণের দিকে।
জাতিকে এ অভিশাপ থেকে কে রক্ষা করবে ? কে ফেরাবে যুগ ও জীবনকে এ অবক্ষয় থেকে?
মুক্তি যজ্ঞের প্রথম পুরোহিত রূপে আবির্ভূত হলেন রামমোহন। হিন্দুধর্মের অথৈ সমুদ্র থেকে তুলে আনলেন ব্রাহ্মধর্মের পতাকা। জাতি একটু থমকে দাঁড়ালো বটে, কিন্তু পুরোপুরি ভাবে গ্রহণ করতে পারলনা তা। বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ, কেশবচন্দ্র, বিজয়কৃষ্ণ ও শিবনাথ এলেন। যুগ ও জীবনের প্রেক্ষাপটে এসব দিগপালদের আগমন দেখে গােড়া হিন্দু সমাজ আরাে দৃঢ় করে দাঁড় করাল তাদের বিজয় তরণী। এগিয়ে যেতে লাগল তরতর করে। ব্রাহ্ম সমাজের মধ্যেও দেখা দিল আত্মকলহ। নব নাগরিক সভ্যতার পীঠ ভূমি কলকাতা হয়ে উঠল রণক্ষেত্র। ঠিক এমনি দিনে দক্ষিণেশ্বর থেকে ধ্বনিত হল আহ্বান, ‘ওরে তােরা কে কোথায় আছিস আয়।

—কে? কে এমন মমতা মধুর কণ্ঠে আহ্বান করছেন? 
রাণী রাসমণির কালীমন্দিরের পূজারী গদাধর ঠাকুর। সিমলার নরেন দত্তর মনেও জাগাল সাড়া। বাংলার বুকে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের যুগ সঞ্চার হল।
শিব-প্রীতির সঙ্গে শক্তির আবির্ভাব না হয়ে পারে? তাইতাে এলেন বিশ্বজননী সারদামণি। 
সারদা পরমাশক্তির ঘনীভূত মূর্তি। রামকৃষ্ণ সংহিতার বেদ সঙ্গিত।
অনেক পুস্তক মা সম্বন্ধে ইতিপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে। বহু শ্রদ্ধেয় লেখকের অর্ঘ্য স্বরূপ নিবেদিত হয়েছে মায়ের জীবনী। তবুও কেন লিখি ? কারণ সুধাসিন্ধু ফুরােয় না। এ নেশাও জুরােয় না। অমৃত কথনের কি অন্ত আছে ? না শেষ আছে ? এ যে অশেষ। অফুরন্ত। জীবনের কোনাে এক মগ্ন মুহুর্তে যদি এই সময়টুকু একান্ত নিজের করে নেওয়া যায়, তবেই পরম লাভ। সে লাভের বৃন্তে প্রস্ফটিত হয়ে আছে একটি মন্ত্র—‘মা’।
মা নাম জপে যদি তন্ময়তা আসে তবেই সিদ্ধি। তবেই পরম শান্তি। আমিও সেই শান্তি পিপাসু ছাড়া কিছু নয়। মাতৃনাম জপ করলাম।

মৃণালকান্তি দাশগুপ্ত


Read PDF Online

=========

Post a Comment

0 Comments