দিব্যবাণীর প্রতিধ্ববনি(প্রথম খণ্ড) - স্বামী বাসুদেবানন্দ
প্রকাশকের নিবেদন
শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘে পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বাসুদেবানন্দজী মহারাজ এক পরম ঋদ্ধিমান সন্ন্যাসী ছিলেন। আধ্যাত্মিক ভাব-সম্পদ ও চিন্তাধারায় তিনি কেবল অনন্যই যে ছিলেন তা নয়, তার সেই উচ্চমার্গের আধ্যাত্মিক ধ্যানধারণা তাঁর বলিষ্ঠ লেখনী ও বাকশক্তিবলে তাঁর ভক্তমণ্ডলী ও শিক্ষার্থিগণের মধ্যে অতি নিপুণভাবে তিনি সঞ্চারিত করে গেছেন। এ হেন সাধক সন্ন্যাসীর দিনলিপির মধ্যে ধরে রাখা তাঁর আন্তর বাণী যে অপূর্ব এক চিত্তাকর্ষক সম্পদ হিসাবে শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীমা সারদামণি ও স্বামী বিবেকানন্দ ভাব পরিমণ্ডলে পরিগণিত হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। অত্যন্ত আনন্দের কথা, পূজ্যপাদ মহারাজের কিছু শিক্ষার্থী-ভক্তবৃন্দ তার ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দের গােটা বছরটির প্রতিটি দিনের রােজনামচা—স্বাধ্যায় ও উপাসনা এই দুই শিরােনামাঙ্কিত পরিচ্ছেদে বিভক্ত করে ১৯৫৪ খ্রীস্টাব্দে (১৩৬১ বঙ্গাব্দের রাসপূর্ণিমা তিথিতে) গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবাশ্রিত ভক্তমণ্ডলীর অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাজন হন। তাঁরা গ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন—“দিব্যবাণীর প্রতিধ্বনি' (প্রথম খণ্ড)। গ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশনার পর প্রকাশক ও অন্যান্য উৎসাহী ভক্তগণ যারা এই প্রকাশনার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, গ্রন্থখানির সর্বস্বত্ব রামকৃষ্ণ মঠের অনুকূলে সমর্পণ করেন। দুর্ভাগ্যের কথা, এই অমূল্য গ্রন্থটি দীর্ঘকাল ব্যাপী বাজারে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়ায়, এর অস্তিত্ব সম্বন্ধেই শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্তমণ্ডলী অনবহিত থেকে যান। আমরা তাদেরই সাধনপথের দিগদর্শনে সাহায্যকল্পে এই গ্রন্থটির মূল অবয়ব অক্ষুন্ন রেখে পুনর্মুদ্রণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, সর্বস্তরের অধ্যাত্ম-সন্ধানী মনের আগ্রহ তৃপ্ত করে তাদের সাধনপথে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে এই গ্রন্থটি।
স্বামী সত্যব্রতানন্দ
বইটি অনলাইনে পড়তে ও PDF Download করতে নিচে দেখুনঃ-
*****
=====
0 Comments